এবিএনএ : এবারের চৈত্র মানেই কাঠ ফাটা রোদ, সঙ্গে ভ্যাপসা গরম। এমন গরমে অনেকেই আইসক্রিম খেয়ে প্রাণ জুড়াতে চান। কিন্তু যতই গরম লাগুক না কেন ভুলেও আইসক্রিম খাবেন না। কারণ বেশ কিছু গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে মজাদার এই খাবারটি শরীরের কোনও উপকারেই লাগে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জিভে জল আনা এই ডেজার্টটির যতটা না উপকারিতা, অপকারিতা তার থেকে অনেক বেশি। শিশু থেকে বুড়ো সবাই যেহেতু এই খাবারটি খেতে ভালবাসে তাই আইসক্রিম সম্পর্কে সচেতন হওয়াটা একান্ত প্রয়োজন।তা না হলে কিন্তু…
ওজন বেড়ে যায়
যে যে উপকারণ দিয়ে সাধারণত আইসক্রিম বানানো হয়ে থাকে তাতে প্রচুর মাত্রায় স্টাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এই ফ্যাট শরীরে এনার্জির ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি বিশেষ কিছু উপকারি এনজাইমের উৎপাদনে এবং স্ট্রেসের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে বাঁচাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সেই সঙ্গে শরীরের ওজন বৃদ্ধিও ঘটায়। আর ওজন বাড়া মানে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যাচ্ছে।
খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ায়
হাফ কাপ ভ্যানিলা আইসক্রিমে কমবেশি ২৫ মিলি গ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। তাহলে বুঝুন, পুরো এক কাপ অথবা একটা মোটা আইসক্রিম বার খেলে কী পরিমাণে খারাপ কোলেস্টেরল শরীরে প্রবেশ করে। দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে রক্ত সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে হটাৎ করে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
ডায়াবেটিসে আক্রান্তের আশঙ্কা
আইসক্রিমে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে, যা শরীরে ক্যালরির মাত্রার বৃদ্ধি ঘটায়। আর ক্যালরি যত বৃদ্ধি পাবে, তত ওজন বাড়বে। আর ওজন বাড়লে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে।
মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি
আইসক্রিম খাওয়ামাত্র বেশ কিছু নার্ভের উপর এত মাত্রায় খারাপ প্রভাব পরে যে ক্রণিক মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়। সেই সঙ্গে ব্রেন পাওয়ারও কমতে শুরু করে। ফলে স্মৃতিশক্তিও কমে চোখে পরার মতো।